শিবলী নোমান

হিউমার

শিবলী নোমান

 

ইদানিং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের যে বিষয়টি বারবার চোখে পড়ে যাচ্ছে তা হলো নানান কায়দায় বিভিন্ন দেয়ালে হিউমারের বহিঃপ্রকাশ।
এই যেমন সেদিন হলের রিডিং রুমের দেয়ালে গাঢ় করে লেখা দেখলাম,

  • রিডিং রুমে কলম চুরি করে কে?

এর নিচেই আরেকজন উত্তর লিখে রেখেছেন, যার প্রথম অংশ অনেকটা এমন,

  • কেন? চোর কি লেখাপড়া করবে না?

আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র বা টিএসসির দেয়ালে আঁকা এক গ্রাফিতিতে লেখা,

  • হাতকড়া হাতে গণমাধ্যম হাটে

তার উপর একই রঙ দিয়ে আরেকজন লিখে দিয়েছেন,

  • হাটুক না!

দিন দিউয়েক আগে কথায় কথায় আমার শিক্ষার্থীদের আরেক হিউমারের মুখে পড়লাম।
দাঁতের ডাক্তার আট দিন আগে সময় দিয়ে রেখেছিলেন। সেই উদ্দেশ্যে ভোর সাড়ে ৬টায় জাহাঙ্গীরনগর থেকে রওনা হয়ে ঢাকার হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারলাম ডাক্তার আজ আমাকে ফাঁকি দেয়ার ইরাদা করেছেন। অন্য কাজের কারণে আসবেন না, আগেও কিছু জানান নি। তাই অগত্যা উদ্দেশ্য অপূর্ণ রেখেই  ক্যাম্পাসে ফিরতে হলো।
সব শুনে এক শিক্ষার্থী বললেন,

  • আমাদের সাথেও প্রায়ই এমন হয় স্যার!
মানুষ যখন দুঃখে থাকে, তখন তার সাথে হওয়া সব অন্যায়-অবিচার নিয়ে সে মজা নিতে শুরু করে, হিউমার তৈরি করে, নিজের ভেতরের কষ্টকে ব্যবহার করেই সেই কষ্টকে চাপা দিয়ে রাখতে চায় বিস্ফোরণের আগ পর্যন্ত ।
তো কি উত্তরই বা দেয়ার থাকে এমন মজলুমদের!

Leave a Comment

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।