শিবলী নোমান

গল্প

মাইক্রোফিকশন (৪৬-৫০)

শিবলী নোমান   ৪৬. দুইজন মানুষ একই সময়ে একে অপরের ফেইসবুক প্রোফাইলে ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রবল আগ্রহ নিয়ে। অথচ কেউ জানছে না অপরের তৎপরতার কথা, আবার চায় না অন্যজন ঘুণাক্ষরেও বুঝে ফেলুক ব্যাপারটা।   ৪৭. সকালে ঘুম থেকে উঠেই মাথার কাছে থাকা বাম হাতে ভেজা ল্যাদল্যাদে কিছু একটা অনুভব করলেন লোকটি। বস্তুটি কী তা দেখার জন্য […]

মাইক্রোফিকশন (৪৬-৫০) Read More »

মাইক্রোফিকশন (৪৪-৪৫)

শিবলী নোমান   ৪৪. উদভ্রান্তের মতো হন্তদন্ত হয়ে লাইন ভেঙে লেখকের সামনের টেবিলে বইটি ঠেলে দিলেন পাঠিকা। পরিস্থিতি সামাল দিতে হাস্যোজ্জ্বল লেখক মুখের হাসি ধরে রেখেই বলে উঠলেন, – আপনি যেভাবে আসলেন ও বইটি ঠেলে দিলেন, তা দেখে আপনি অটোগ্রাফ নিতে নয়, বরং এমন ছাইপাশ কেন লিখেছি সেই বিরক্তি প্রকাশ করতে এসেছেন বলেই মনে হচ্ছে।

মাইক্রোফিকশন (৪৪-৪৫) Read More »

মাইক্রোফিকশন (৪১-৪৩)

শিবলী নোমান   ৪১. – ৪৫ মিনিট আগে চিকেন অর্ডার করেছিলাম। আর কতক্ষণ লাগবে? – দুঃখিত ম্যাডাম, আপনার জন্য চিকেন রান্নার উদ্দেশ্যে মুরগির খাঁচা খোলার সময় সব মুরগি বের হয়ে গিয়েছে। ওদের ধরে ফেলা মাত্রই আমরা চুলায় আগুন জ্বালাতে পারবো।   ৪২. – আমি তো দুইটা চিকেন থাই চেয়েছিলাম, এখানে একটা থাই আর একটা লেগ

মাইক্রোফিকশন (৪১-৪৩) Read More »

মাইক্রোফিকশন (৩৬-৪০)

শিবলী নোমান   ৩৬. – ভাই, চেয়ারটা একটু ছেড়ে দেন, ভিআইপি গেস্ট এসেছে, একটু বসতে দেই। – তা দেন, সমস্যা নেই। আরেকটা কথা, রিসিপশনে গিয়ে ৩৩ নম্বর নামে দুই হাজার টাকার ভাউচার দিয়েছিলাম, ওর ভেতর থেকে এক হাজার আমাকে একটু দিয়ে যান। – ওমা! বিয়েতে উপহার দিয়ে কেউ আবার ফেরত নেয় নাকি! –  গন্তব্য এক

মাইক্রোফিকশন (৩৬-৪০) Read More »

মাইক্রোফিকশন (৩১-৩৫)

শিবলী নোমান   ৩১. বাথরুমে ঢুকে দুই পা এগুতেই বাম পা পিছলে পড়ে গেলো লোকটা। কোমড় মাটিতে পড়তেই পিং পল বলের মতো এক লাফ দিয়ে তার শরীরটা হাই কমোডে ঢুকে অদৃশ্য হয়ে গেলো। সেকেন্ড কয়েক পর ভেসে এলো এক তৃপ্তির ঢেকুড়ের শব্দ।   ৩২. কতিপয় জীবিত মানুষের প্ল্যানচেট খেলার ফলে দুনিয়ায় ফিরে এসেই ব্রিটিশ রাজা

মাইক্রোফিকশন (৩১-৩৫) Read More »

মাইক্রোফিকশন (২৬-৩০)

শিবলী নোমান   ২৬. দাঁতের চিকিৎসার জন্য চেয়ারে শুয়ে ছিল সে, যখন ডাক্তার রোগীর চোখ বরাবর থাকা কাজে সহায়ক বাতিগুলো জ্বালিয়ে দিলো। কিন্তু রোগীর মনে হলো বাতি না জ্বলে কেউ হেসে উঠলো যেন। আতঙ্কে চেয়ার ছেড়ে উঠে যাওয়ার জন্য নড়তে শুরু করতেই দাঁতের চিকিৎসার নানা কাজে লাগা যন্ত্রগুলোর নল তাকে পেঁচিয়ে ধরলো আষ্টেপৃষ্ঠে। ঠিক তখনই

মাইক্রোফিকশন (২৬-৩০) Read More »

মাইক্রোফিকশন (২১-২৫)

শিবলী নোমান   ২১. সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এবং যারা সরবরাহকৃত নাস্তা খান নি তাদের সামনে থেকে নাস্তা ফেরত নেয়ার ঘোষণাপূর্বক আজকের এই বিশেষ ও জরুরি সাধারণ সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হলো।   ২২. সন্দেহভাজন আত্মঘাতী হামলাকারীর মুভমেন্ট টের পাওয়া মাত্রই সতর্ক হয়ে উঠলো স্নাইপার। রাইফেলের দূরবিনে সন্দেহভাজন হামলাকারীর চেহারা স্পষ্ট হতেই নিজের মাকে দেখতে পেলো

মাইক্রোফিকশন (২১-২৫) Read More »

মাইক্রোফিকশন (১৬-২০)

শিবলী নোমান   ১৬. – ঐ দ্যাখ, শসা বিক্রি করতিছে! খাবি? – রাতের খাওনের ট্যাকা কম পড়লে আমারে গাইল পারিস না য্যান!   ১৭. এইমাত্র পাওয়া: বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং-এ স্থান পাওয়ার জন্য দাপ্তরিক ওয়েবসাইটে পাঠশালার পণ্ডিতদের নিজস্ব প্রোফাইল আপডেটের জন্য বছরের পর বছর দফায় দফায় আহ্বান জানিয়ে ব্যর্থ হয়ে এবার আপডেটেড প্রোফাইলবিহীন পণ্ডিতদের পাঠশালা চত্বরে দেখামাত্র

মাইক্রোফিকশন (১৬-২০) Read More »

মাইক্রোফিকশন (১১-১৫)

শিবলী নোমান   ১১. বাজারে না গিয়ে নিজের ছেলের সুপার শপ থেকে রেডি টু কুক মাছ-মাংস কিনতে যাওয়ার খবর পেয়েই তিনি হুঙ্কার দিয়ে উঠলেন, “আমার দো-নলা বন্দুকটা বের কর্‌, আসুক আজ হারামজাদাটা!”   ১২. হোটেল ইন্টারকনে নিজ প্লেটের দিকে তাকিয়ে একমনে সুশি চিবুচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎ কী মনে করে এদিক-ওদিক তাকাতেই নিজেকে আবিষ্কার করলেন ছেড়া চপ্পল

মাইক্রোফিকশন (১১-১৫) Read More »

মাইক্রোফিকশন (৬-১০)

শিবলী নোমান   ৬. – এখান থেকে কোনটা নামাবো, ভালো করে দেখে পছন্দ করবেন? – নাহ, যার জন্য ভাবছি সে তো মারা গেছে।   ৭. – ফাঁদে পড়া ইঁদুরগুলোর কী ব্যবস্থা করলে? – এই আকালের দিনে বিরিয়ানি কোথা থেকে আসে সেই প্রশ্ন তো করলে না খাওয়ার সময়!   ৮. ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টিতে বাসের জানালার সিটে বসে

মাইক্রোফিকশন (৬-১০) Read More »