শিবলী নোমান
এই শহর দিন পনেরো বা নিদেনপক্ষে সপ্তাহকালের সমান ধুলায় আপনাকে স্বাগত জানাতে সক্ষম কেবল ঘণ্টাকতক হাতে রেখে।
তবুও বাসের অপেক্ষায় ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা অফিসফেরত নারীরা ভেতরে কেমন চিনচিনে অনুভূতি জাগিয়ে দেয়।
কী এক প্রাগৈতিহাসিক ভাটার টান!
সে টান থেকে বাঁচার ইচ্ছায় আকাশের দিকে তাকালে কেবল খাবারের দোকান চোখে পড়ে।
সাথে থাকা নানান ব্র্যান্ডের ঝকমারি পসরা সেসব খাবারের দোকান দেখার একঘেয়ামি কাটাতে পারে মাত্র।
জীবনকে নিংড়ে নেয়ার বিনিময়ে বেতন নামক প্রহসন বেঁচে আমরা নানান স্বাদের সুখ কিনে খাই।
ভুলে থাকি যে সেই বেতনকে মজুরি বলার স্বাধীনতাও বিক্রি হয়েছে বহু আগেই।
তবু এই শহরে এখনো কেউ কেউ ভিন্ন পয়গাম বয়ে বেড়ায়।
নয়া-উদারতাবাদের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঠাণ্ডা আবহাওয়াকে বুড়ো আঙুল দেখাতে,
কিংবা গ্লোবাল ওয়ার্মিংকে সত্য প্রমাণ করতেই হয়তো এই মাত্র,
হ্যা, এই মাত্র
পায়ে টানা রিকসার এক চালক তেমন বার্তাই বিলিয়ে গেলো যেন।
চলন্ত রিকসায় হাটুতে উঠে থাকা লুঙ্গি আরো হাত খানেক উঁচিয়ে নিজেকে কোমল বাতাসে ভাসিয়ে নেয়া সোজা কাজ তো নয়।
তাতে তার ঝুলে থাকা যৌনাঙ্গে আপনার চোখ পড়লে তার বয়েই গেলো!
(১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ঢাকা)