শিবলী নোমান

মাইক্রোফিকশন (১১-১৫)

শিবলী নোমান

 

১১.

বাজারে না গিয়ে নিজের ছেলের সুপার শপ থেকে রেডি টু কুক মাছ-মাংস কিনতে যাওয়ার খবর পেয়েই তিনি হুঙ্কার দিয়ে উঠলেন, “আমার দো-নলা বন্দুকটা বের কর্‌, আসুক আজ হারামজাদাটা!”

 

১২.

হোটেল ইন্টারকনে নিজ প্লেটের দিকে তাকিয়ে একমনে সুশি চিবুচ্ছিলেন তিনি।

হঠাৎ কী মনে করে এদিক-ওদিক তাকাতেই নিজেকে আবিষ্কার করলেন ছেড়া চপ্পল হাতে বসে আছেন কড়াইল বস্তির নোংরা রাস্তায়।

‘ওয়াক থু’ বলে মুখ থেকে কিছু উগড়ে দিলেন। বেরিয়ে এলো কিছুটা চিবানো লালামিশ্রিত চপ্পলের রাবার।

 

১৩.

– তুই প্রকৃতি দেখছিস! আসার পথে দেখলাম রাস্তায় মানুষের একটা চোখ পড়ে আছে? দেখিস নাই?

– দেখি নাই, তবে জানি।

উত্তর দিয়ে বন্ধুর দিকে ফিরে সানগ্লাস খুলে সুন্দর একটা হাসি দিলো সে।

 

১৪.

– বেশির ভাগ মানুষই আমাকে ভুল বুঝেছে।

– আর বাকিরা?

– বাকিরা বোঝার চেষ্টাই করে নি।

 

১৫.

লম্বা সিরিয়ালে অপেক্ষা করে চুল-দাঁড়ি ছেটে সঠিক আকারে নিয়ে আসার চেয়ে এই সপ্তাহে বাসায় আরো দুই ঘণ্টা বেশি ঘুমানোকে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে চাংখারপুলের নরসুন্দরের দোকান থেকে ঢিলা লুঙ্গি এক ঝাড়া দিয়ে বাঁধতে বাঁধতে বেরিয়ে গেলেন গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিস।

 

পড়ুন মাইক্রোফিকশন (৬-১০)

পড়ুন মাইক্রোফিকশন (১-৫)

২ thoughts on “মাইক্রোফিকশন (১১-১৫)”

  1. Pingback: মাইক্রোফিকশন (৬-১০)

  2. Pingback: মাইক্রফিকশন (১-৫)

Leave a Comment

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।