জার্নাল

শিবলী নোমান ঝুম বৃষ্টি আমাকে মাদকতায় ভোগায়। জানালার বাইরে কিংবা কোন বহুতল অট্টালিকার সবচেয়ে উপর থেকেও মাদকতাটা একই। আমি সবুজের মাঝে বৃষ্টি দেখি। আবার ইট-পাথরের ফাঁকে ফাঁকেও দেখি বৃষ্টির ফোঁটা। দেখতে দেখতে ভাবতে থাকি। ভাবতে ভাবতে হারিয়ে যাই। তবে প্রেমিকাকে নিয়ে ঝুম বৃষ্টিতে ভেজার কথা আমার মাথার বাইরেই থাকে এখনো। হাই প্রোফাইল রোমান্টিকতার চেয়ে ওর […]

শিবলী নোমান মানুষের সাথে কথা বলতে আমার ভালো লাগে। তবে কথা বলতে বলতে আর সব কাজ ভুলে যাওয়ার অভিযোগ করেন অনেকেই। তবু কথা বলতে ভালো লাগে। তবে কথা শেষ হওয়ার পর কিংবা অনেক পর প্রায়ই শুনতে পাই আমার কথায় অনেকে কষ্ট পান। এসব কষ্ট দেয়া আমাকে পোড়ায় ভীষণ। কারন এতে আমার ইচ্ছার দায় থাকে সামান্যই।

শিবলী নোমান মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে ছিল কিংবা বিষন্নতাগ্রস্ত। কে জানে, হঠাৎ গ্রাজুয়েট হলে এমন হয় কিনা। ও কয়েকদিন ধরে একটা কুর্তার কথা বলছিলো, আমার জন্যেই। যদিও আমি কুর্তা আর পাঞ্জাবির পার্থক্য কমই বুঝতে পারি। হঠাৎ করে হাতে কিছু টাকাও এসেছে। কোথায় জানি শুনেছিলাম শপিং করলে মন হালকা হয়। মানিব্যাগ ও মন হালকা করতে তাই আড়ং

শিবলী নোমান আমি প্রায়ই রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকি। দেয়ালে কিংবা পিলারে ভর দিয়ে কিংবা ভর দিয়ে দুই পায়ে। আমার চারপাশ দিয়ে ব্যস্ত পথিকেরা অতিব্যস্ত ভঙ্গিতে হেটে যায়। আমি ঠায় দাঁড়িয়ে থাকি। তখন আমার নিজেকে মনে হয় পরম বস্তু, যার খোঁজ ফিজিক্সে পাওয়া যায় না। আমি মানুষ দেখি। ইন্দ্রিয়ের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে গন্ধ সংগ্রহ করে নাক

শিবলী নোমান নস্টালজিয়া ভালো, নস্টালজিয়া আপনাকে সুখ দেয় আমার মতই। নস্টালজিয়া খারাপ, ওটা পুরনোকে মনে করিয়ে দেয় প্রতিবার। পুরনো গান কিংবা কথা কিংবা কাজ আমার ভালো লাগে। যেমন ভালো লাগে আপনাকে। আমাকে কি মনে পড়ে আপনার? আমার মনে পড়ে। মনে পড়ে বনানীর সেই সাড়ে সাত বিঘা জমিতে দাঁড়িয়ে থাকা স্বপ্নের স্কুল। দেড়শ কাঠা জমিতে বোনা

শিবলী নোমান মধ্যবিত্ত জীবনে হতাশার নাম অর্থ কিংবা টাকা, একদিন পকেটে টাকা থাকে তো নিজেকে রাজা মনে হতে বাঁধা নেই। কিংবা পরদিন শূণ্য পকেটে রাজ্যের হতাশা কিংবা দু’খানি কবিতায় সময় কাটানো। টং দোকানের চায়ে বনরুটি ভিজিয়ে খেতে সুখ, বাইরে কাঠফাঁটা রোদ! অথবা নামী-দামী কিংবা রঙচঙে কোন রেস্তোরায় কোল্ড কফি আর উষ্ণ লিকুইড চকলেট মাফিনে দু’কামড়,