শিবলী নোমান

বিউপনিবেশায়ন বনাম সভ্যতার সংঘাত: প্রসঙ্গ বাংলাদেশ

শিবলী নোমান

প্রায় ১৯০ বছরের ব্রিটিশ উপনিবেশী শাসনের অবসানের মাধ্যমে যখন ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তানের জন্ম হয় তখন এই অঞ্চলের মানুষ ধারণা করেছিল উপনবেশকালীন সময়ের চর্চাগুলো দূর করে নিজস্বতার মাধ্যমে আত্মোন্নয়ন করা হবে। অন্তত ব্রিটিশ শাসন ও উপনিবেশের বিরোধীতার অন্যতম কারণ ছিল এটি। ১৯৪৭ এর দেশ বিভাগকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা সম্ভব নয় তাই শুরুটা ১৯৪৭ দিয়েই করা হল। কিন্তু ১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ উপনিবেশের অবসানের মাধ্যমে ভারত ও পাকিস্তান নামক দুইটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হলেও বর্তমান বাংলাদেশ ভূ-খন্ডের মানুষ রাজনৈতিক স্বাধীনতা পেয়েছে আরও প্রায় ২৩ বছর পর। ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে মুক্ত হয়ে বর্তমান বাংলাদেশ পূর্ব-পাকিস্তান হিসেবে ২৩ বছর পশ্চিম-পাকিস্তানের রাজনৈতিক শোষণ ও অর্থনৈতিক বৈষম্যের স্বীকার হয়েছে। পাকিস্তানের দিক থেকে পূর্ব-পাকিস্তানের সাথে এরূপ বৈষম্যমূলক আচরণ ব্রিটিশ উপনিবেশ পরবর্তী পাকিস্তানের উত্তর-উপনিবেশী পরিস্থিতিকেই নির্দেশ করে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের উত্তর-পূর্বের রাজ্য ও কোন কোন ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা, কাশ্মীরের সাথে আচরণেও এই উত্তর-উপনেবিশী পরিস্থিতির উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

এক্ষেত্রে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা শুরু করতে হয় ১৯৭১ থেকে। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা অর্জন করা বাংলাদেশ মূলত ১৭৫৭ সালের পর ১৯৭১ সালেই উপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্ত হয়। ১৯০ বছরের ব্রিটিশ উপনিবেশ ও ও ২৩ বছর পূর্ব-পাকিস্তান হিসেবে থাকা, উভয়কেই এক্ষেত্রে উপনিবেশ বলা হচ্ছে সচেতনভাবে। কারণ উভয়ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের মানুষের সম্পদ, উপার্জন পাচার হয়েছে। এই অঞ্চলের মানুষের পরিশ্রমের উপার্জন দিয়ে কখনো গড়ে উঠেছে লন্ডন শহরের নান্দনিকতার ভিত্তি; কখনোবা পশ্চিম পাকিস্তানে গড়ে উঠেছে করাচী, রাওয়ালপিন্ডি, ইসলামাবাদের মত একের পর এক নতুন নতুন রাজধানী শহর। কিন্তু কোন ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়ন হয় নি। পাকিস্তান আমলে বাংলাদেশ অঞ্চলের পাট রপ্তানী করা অর্থ দিয়ে পশ্চিম-পাকিস্তানে সিন্ধু নদীর অববাহিকায় সেচ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, কিন্তু পূর্ব-পাকিস্তানের বন্যা পরিস্থিতি উন্নয়নে কোন প্রকল্প নেয়া হয় নি। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এই বৈষম্য আরো বেশি স্পষ্টভাবে দেখা গিয়েছে। একের পর এক সামরিক শাসন, প্রাদেশিক সরকার বাতিল করে কেন্দ্রের শাসন জারি, শাসনতন্ত্র বাতিলের মাধ্যমে বাঙালিদের ক্ষমতায় যাওয়ার সকল রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ১৯৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কেন্দ্র ও প্রদেশে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা  অর্জন করায় ক্ষমতা ধরে রাখতে পশ্চিম-পাকিস্তানি শাসক মহল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অন্যতম ভয়াবহ গণহত্যা সংঘটিত করেছে বাংলাদেশে। আর এর ফলেই বাংলাদেশের মানুষের সংগঠিত প্রয়াসে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।

স্বাধীনতা অর্জনের ৪৫ বছর পর এসে যদি বাংলাদেশের উত্তর-উপনিবেশী পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে হয় তাহলে বেশ কিছু বিষয় সামনে চলে আসে। সবার আগে বলে নেয়া ভালো যে, উপনিবেশিক শাসক গোষ্ঠী চলে যাওয়ার পর স্থানীয় যে শাসক মহল ক্ষমতা গ্রহণ করে কিন্তু তাদের ক্ষমতা চর্চা কিংবা কর্মকান্ডের প্রকৃতি ও বিদ্যমান ব্যবস্থায় যদি উপনবেশিক চর্চাগুলোকেই স্ব-অবস্থানে বহাল রাখা হয়, তাহলে যে পরিস্থিতি বিদ্যমান থাকে, তাকেই বলা হচ্ছে উত্তর-উপনিবেশী পরিস্থিতি। উত্তর-উপনিবেশী পরিস্থিতি বিদ্যমান থাকলে কিছু বৈশিষ্ট্য ঐ সমাজে লক্ষ্য করা যায়। এর ভিতর স্থানীয় সংস্কৃতির সম্পূর্ণ বা আংশিক বিলুপ্তি কিংবা তা যতটুকু বিদ্যমান থাকে তার অবমূল্যায়ন; আত্মপরিচয় সম্পর্কে উপনিবেশিতের হীনমন্যতাবোধ; পশ্চিম-পূর্ব, কেন্দ্র-প্রান্ত, ১ম-২য়-৩য় বিশ্বের বিভাজন এবং উপনিবেশী শাসকদের মত উপনিবেশিতদের ভিতর বুর্জোয়া শ্রেণীর উত্থান অন্যতম।

এখন এসব বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান মূল্যায়ন করতে গেলে সহজেই চোখে পড়ে যে, বাংলাদেশে উত্তর-উপনিবেশী পরিস্থিতি বিদ্যমান। আমাদের আমলাতন্ত্র, ধনিক শ্রেণীর ক্রমউত্থানের মত জটিল তাত্ত্বিক দিকগুলো বাদ দিয়ে যদি ব্যক্তিকেন্দ্রিক অবস্থান থেকে সাধারণ মানুষদের দিয়েও বিবেচনা করা হয় তাহলেও কিন্তু এই দিকটি ফুটে উঠবে সহজেই। জনপ্রিয় সংস্কৃতির (পপ-কালচার) অংশ হিসেবে বাংলা চলচ্চিত্র আর একটি ইংরেজি চলচ্চিত্রের আলোচনায় অংশ নেয়ার আগ্রহ লক্ষ্য করলে কিংবা কোন্‌ আলোচনাটিতে অংশ নেয়াকে বেশি ‘অ্যারিস্টোক্রেট’ ভেবে নেয়া হচ্ছে তা বিবেচনা করলেই কিন্তু কিছু উত্তর পেয়ে যাওয়ার কথা। কিংবা সাদা চামরার মানুষদের ‘সুপিরিয়র’ ভাবা, এক বা একাধিক ইউরোপীয় ডিগ্রি অর্জনকে সমমানের দেশীয় ডিগ্রির চেয়ে অধিক এবং অত্যাধিক গুরুত্ব দেয়া তো অবশ্যই উত্তর-উপনবেশী পরিস্থিতিকেই নির্দেশ করে। এডওয়ার্ড সাঈদ যেমন বলেছিলেন ‘পশ্চিমের চোখ দিয়ে নিজেকে দেখা’, এটিই তো উত্তর-উপনিবেশী পরিস্থিতি।

অর্থাৎ ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে মুক্ত হওয়ার ৬৯ বছর পর এবং পাকিস্তানি উপনিবেশ থেকে মুক্ত হওয়ার ৪৫ বছর পরও আমাদের দেশে উত্তর-উপনিবেশী পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ তথা বিউপনিবেশায়ন নিয়ে আলোচনা জরুরি। তার আগে জরুরি হল বিউপনিবেশায়ন পদ্ধতিটি কেমন হবে তা নির্ধারণ করা। বিউপনিবেশায়নের মূলত দুইটি প্রধান পদ্ধতি দেখা যায়। প্রথমটি হল, উপনিবেশের ফলে নিজস্ব চর্চা ও উপনিবেশকের চর্চার মিশ্রণে যে ‘হাইব্রিড’ সংস্কৃতি দাঁড়িয়ে গিয়েছে তার ভিতর থেকে নিজস্ব চর্চাগুলো চিহ্নিত করে সেগুলোর মূল্য নির্ধারণ করা এবং তা নিয়ে কাজ করা। এটিকে কিছুটা ‘আপোসকামী’ পদ্ধতি বলা হয়ে থাকে। অপর পদ্ধতিটি হল, হাইব্রিড সংস্কৃতি থেকে নিজস্ব বিষয়গুলো আলাদা করে উপনিবেশকের বিষয়গুলো সম্পূর্ণ বাতিল করে দেয়া। একে ‘পরম উত্তর-উপনিবেশবাদ’ বলা হয়েছে। তবে দ্বিতীয় পদ্ধতি সম্পর্কে ১৯৯৪ সালে এডওয়ার্ড সাঈদ বলেছিলেন এ ধরণের আকাঙ্ক্ষা উসকে দিতে পারে গোঁড়া “স্বদেশবাদী, চরম জাতীয়তাবাদী, মনোভাব যা থেকে জন্ম নিয়েছে ইসলামি মৌলবাদ, আরববাদ ইত্যাদি মতবাদ ও আন্দোলন।”

তাই বিউপনিবেশায়ন নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে সবদিক ভেবেই। উপনিবেশের সকল কিছুকে ঝেঁড়ে ফেলে দিয়ে শুধু নিজস্ব বিষয়, যা প্রাক-উপনিবেশী, তা গ্রহণ করে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলা সম্ভব কিনা, নাকি এর ফলে মৌলবাদের উত্থানের সম্ভাবনা রয়েছে তা দেখা জরুরি। তাই বিউপনিবেশায়নের তাত্ত্বিক কাঠামো গঠণ বা তাত্ত্বিক লেখালেখির আগে যিনি লিখছেন তিনি কী ভেবে লিখছেন ও কেন লিখছেন তা অনুধাবন জরুরি। যিনি বিউপনিবেশায়নের জন্যে লিখছেন তিনি আসলে কতটুকু বিউপনিবেশায়ন চান তা বুঝতে হবে। এক্ষেত্রে জ্যাক দেরিদা বলেছেন শুধুমাত্র কোন লেখা পড়ে নয় বরং ক্ষমতা বিন্যাসে লেখকের অবস্থান বিচার করতে হবে। ক্ষমতা বিন্যাসে লেখকের অবস্থান এবং তার লেখা, দুইটি বিষয়ের মিলিত বিশ্লেষণ থেকেই বুঝতে পারা যায় লেখকের মূল উদ্দেশ্য।

এরপরই চলে আসবে ভাষা ও ধর্মের প্রশ্ন। বিউপনিবেশায়নের মাধ্যমে উত্তর-উপনিবেশী পরিস্থিতির পরিবর্তন করতে উপনিবেশকের ভাষাই ব্যবহৃত হবে নাকি নিজস্ব ভাষা তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। উপনিবেশী শাসকদের কারণে প্রচুর আঞ্চলিক ভাষা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে বলে কেনীয় লেখক নাগুগি ওয়া থিয়োঙ্গা স্থানীয় ভাষাকে পুনরুজ্জীবিত করার বিষয়টিকে এক্ষেত্রে তর্কের ঊর্দ্ধে রাখতে চান। তবে আমার মনে হয় এ বিষয়টি বিবেচনাযোগ্য দেশ থেকে দেশ ও সংস্কৃতি থেকে সংস্কৃতিতে উপনিবেশের প্রভাব, মাত্রা ও ফলাফলের উপর।

অন্যদিকে প্রাক-ঔপনিবেশিক সংস্কৃতির উত্থান হিসেবে উপনিবেশী চর্চা বা সংস্কৃতিগুলোকে সরিয়ে যদি উপনিবেশের আগের সংস্কৃতিকে ব্যবহার করার প্রশ্ন আসে, সেক্ষেত্রে ধর্ম বিষয়েও আলোচনা জরুরি। সংস্কৃতি গঠণের ক্ষেত্রে ধর্ম বড় একটি নিয়ামক। এখন প্রাক-ঔপনিবেশিক অবস্থা গ্রহণে কোন্‌ ধর্মকে সংস্কৃতি গঠণের জন্যে গ্রহণ করা হবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা ও প্রচুর বিতর্কের অবকাশ থেকে যাচ্ছে। কারণ স্থানীয় মূলধারার ধর্ম হিসেবে সনাতন হিন্দু ও বৌদ্ধ সংস্কৃতির সাথে সাথে পরবর্তীতে আসা ইসলামী সংস্কৃতি যুক্ত হয়ে এই ক্ষেত্রটিকে জটিল করে তুলেছে। ধর্মের এই বিষয়টি জটিল বলে উত্তর-আধুনিকতার অধীনে ধর্মকে ‘গ্র্যাণ্ড-ন্যারেটিভ’ ধরে একে বাতিল করার চিন্তা আসতে পারে। কিন্তু সেক্ষেত্রে উত্তর-উপনিবেশবাদ ও উত্তর-আধুনিকতার কতিপয় সংঘর্ষিক বিষয় নিয়ে আগে নিজস্ব তত্ত্ব গঠণের কাজ থেকে যায়।

ধর্ম ও ভাষার প্রশ্নে আরেকটি মজার বিষয় হল, স্যামুয়েল পি. হান্টিংটন তাঁর ‘দ্য ক্ল্যাশ অব সিভিলাইজেশনস এন্ড দ্য রিমেকিং অব ওয়ার্ল্ড অর্ডার’ গ্রন্থে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর সভ্যতাসমূহের ভিতর যে যুদ্ধের ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, সেখানে সভ্যতাগুলোর অন্যতম ভিত্তি হল নিজ নিজ ভাষা ও ধর্ম। এক্ষেত্রে মান্দারিন ভাষাকে চৈনিক সভ্যতা, ইসলাম ধর্মকে মুসলিম সভ্যতা এবং জাপানী ভাষা ও জাপানের শিনসৌজি ধর্মকে জাপানি সভ্যতার ভিত্তি ধরা হয়েছে। ইসলাম ধর্মবিশ্বাসী সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের দেশ হিসেবে বাংলাদেশ মুসলিম সভ্যতার অংশ হতে চাইলেও মুসলিম সভ্যতার কোন প্রধান বা ‘কোর-রাষ্ট্র’ নেই; হান্টিংটন এক্ষেত্রে ছয়টি সম্ভাব্য মুসলিম কোর-রাষ্ট্রের কথা বলেছিলেন। এর ভিতর সবচেয়ে কাছে রয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানকে মুসলিম সভ্যতার প্রধান ধরে বাংলাদেশ এই সভ্যতার অংশ হবে কিনা সেটি নিয়েই সন্দেহ তৈরি হয়। অন্যদিকে বাংলা ভাষাকে কেন্দ্র করে বাঙালি সভ্যতা তৈরি হওয়ারও কোন লক্ষণ এখন পর্যন্ত দেখা যায় নি। আবার সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের ২৫ বছরের ভিতর নতুন রূপে রাশিয়ার উত্থান এবং পুনরায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ জানানোর অবস্থান অর্জন করায় হান্টিংটনের ‘সভ্যতার সংঘাত’ তত্ত্বও কিছুটা সেকেলে হয়ে যায়। ফলে উত্তর-উপনিবেশী পরিস্থিতির উন্নয়ন কিংবা বিউপনিবেশায়ন পদ্ধতির ফলে সভ্যতার সংঘাতে নিজ অবস্থান অনুধাবনের প্রয়োজনীয়তা কিছুটা হলেও তালিকার নিচে চলে যায়।

তাই দিন শেষে সবার আগে বিউপনিবেশায়ন নিয়েই ভাবনা থেকে যায়। স্বাধীনতা লাভের ৪৫ বছর পরও উত্তর-উপনিবেশী পরিস্থিতির বিদ্যমানতা এবং বিউপনিবেশায়ন পদ্ধতি নিয়ে দৃশ্যমান কোন রূপকল্প না থাকা কোন না কোনভাবে উপনিবেশিক ও নব্য-উপনবেশিক গোষ্ঠীকেই সহায়তা করে। তাই বিউপনিবেশায়নের লক্ষ্যে বিচ্ছিন্ন আলোচনা নয়, বরং নির্দিষ্ট লক্ষ্য বাস্তবায়নে নির্দিষ্ট কর্মপদ্ধতি প্রণয়ন করে সাধারণের উপনিবেশিত মনস্তত্ত্বের পরিবর্তন প্রয়োজন।

(রচনাকাল: নভেম্বর ২০১৬)

Leave a Comment

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।