শিবলী নোমান
৪১.
– ৪৫ মিনিট আগে চিকেন অর্ডার করেছিলাম। আর কতক্ষণ লাগবে?
– দুঃখিত ম্যাডাম, আপনার জন্য চিকেন রান্নার উদ্দেশ্যে মুরগির খাঁচা খোলার সময় সব মুরগি বের হয়ে গিয়েছে। ওদের ধরে ফেলা মাত্রই আমরা চুলায় আগুন জ্বালাতে পারবো।
৪২.
– আমি তো দুইটা চিকেন থাই চেয়েছিলাম, এখানে একটা থাই আর একটা লেগ পিস কেন?
– একই অর্ডারে আমরা দুইটা একই পিস দিবো কিনা সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য আপনার অর্ডারের পরপরই আমাদের ব্যবস্থাপনা পর্ষদ জরুরি সভায় বসেছেন। তাদের সিদ্ধান্ত আসার আগে এটা আপনাকে সৌজন্য হিসেবে পরিবেশন করা হয়েছে স্যার। আমাদের সাথেই থাকুন।
৪৩.
– সারাজীবন তোমার মামার থেকে যে আদর পেয়েছো, প্রতিদানে কী করেছো, বলো তো একবার?
– ভুলে যাবেন না, উনি যেদিন মারা যান সেদিন আগরবাতি কেনার জন্য খুচরা ২০ টাকার নোটটা আমিই দিয়েছিলাম।
– ধরে ফেলামাত্রই চুলায় নাহয় আগুন জ্বললো। কিন্তু, তখন চিকেন রান্না করা হবে, এই নিশ্চয়তাতো পেলাম না!
– আগরবাতির কেনার খুচরা ২০ টাকার নোটতো দিয়েছিলো ঠিকই। কিন্তু, তার আগে মামীর কাছ থেকে যে আস্ত নোটটা নিয়েছিলো, সেটার কী হলো?
নিশ্চয়তা নেই, তাই ক্রেতা হয়তো চলে গেছে…
আর সেই নোটের হিসাব কে রাখে ভাই!