শিবলী নোমান

মাইক্রোফিকশন (৪৬-৫০)

শিবলী নোমান

 

৪৬.

দুইজন মানুষ একই সময়ে একে অপরের ফেইসবুক প্রোফাইলে ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রবল আগ্রহ নিয়ে।

অথচ কেউ জানছে না অপরের তৎপরতার কথা, আবার চায় না অন্যজন ঘুণাক্ষরেও বুঝে ফেলুক ব্যাপারটা।

 

৪৭.

সকালে ঘুম থেকে উঠেই মাথার কাছে থাকা বাম হাতে ভেজা ল্যাদল্যাদে কিছু একটা অনুভব করলেন লোকটি। বস্তুটি কী তা দেখার জন্য চোখ খুলতে গিয়ে টের পেলেন বাম চোখে কিছু দেখতে পারছেন না। ডান চোখ ঘষে ভালো করে তাকাতেই বুঝলেন তার বাম হাতে খেলা করছে অক্ষিকোটর থেকে বেরিয়ে আসা তারই বাম চোখখানা।

 

৪৮.

– সারা শহরে কার্ফ্যু জারি করা হয়েছে। কার্ফ্যু চলাকালে রাস্তায় কাউকে দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছ।

– আর যদি কার্ফ্যুর আওতার বাইরের সময়ে কাউকে রাস্তায় দেখা যায়?

– তাকে বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়া হবে।

 

৪৯.

সোলেমানি খাবনামায় ভুল বানানে লেখা কথাগুলোর সত্যতা নিয়ে খুব বেশি ভাবতেন না জনপ্রিয় সেই নেতা। তবে এই মুহূর্তে এটিই তার চিন্তাজগতকে গ্রাস করে রেখেছে৷ খাবনামা বইয়ের তিলতত্ত্ব অধ্যায়ে তিনি জেনেছিলেন তার শরীরের এক স্থানে তিল থাকার অর্থ শহিদি বা ফাঁসিতে মৃত্যু। চিন্তামগ্নতার ভেতরও হেসে উঠলেন নেতা। ফাঁসিকাষ্ঠের পাটাতন সরে যাওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তে বিড়বিড় করে বলে উঠলেন, “born to be hanged!

 

৫০.

বছর শেষের মহা মূল্য ছাড় ঘোষণা করেছিল আড়ং, চেয়েছিল রেকর্ড বিক্রির ইতিহাস তৈরি করতে। কিন্তু তারা ভুলে গিয়েছিল মানুষ ইতিহাস বদলাতে পারে, কিন্তু নিজেদের মন মতো না। কারণ মূল্য ছাড়ে কেনাকাটা করার নামে ভোক্তাশ্রেণি ঐক্যবদ্ধ হয়ে পুরো আউটলেট লুট করে ভিন্ন ইতিহাস তৈরি করে ফেলেছে।

Leave a Comment

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।