শিবলী নোমান
৬.
– এখান থেকে কোনটা নামাবো, ভালো করে দেখে পছন্দ করবেন?
– নাহ, যার জন্য ভাবছি সে তো মারা গেছে।
৭.
– ফাঁদে পড়া ইঁদুরগুলোর কী ব্যবস্থা করলে?
– এই আকালের দিনে বিরিয়ানি কোথা থেকে আসে সেই প্রশ্ন তো করলে না খাওয়ার সময়!
৮.
ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টিতে বাসের জানালার সিটে বসে ফোনের গ্লাসের ঝাপসা প্রতিবিম্বতে পেছনের বিল্ডিং-এর ছাদ থেকে নিজেকে পড়ে যেতে দেখে শিউরে উঠলো একটি জ্বিন।
৯.
সুপারশপে রঙ-বেরঙের মোড়কে আবৃত ভিনদেশি চকোলেট সাজিয়ে রাখা র্যাকটার সামনে দ্বিধাগ্রস্ত অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছেন তিনি।
অনেক ভেবে, আড়চোখে চারিদিক দেখে নিয়ে একটি চকোলেটের বার তুলে নিলেন। মোড়কের গায়ে দামটা দেখলেন, দেখে হাসলেন একটু।
এরপর আরো ভালো করে মোড়কের লেখা পড়ার অভিনয় করতে করতে ভেতরে থাকা চকোলেটের ঘ্রাণ নেয়ার বৃথা চেষ্টা করে গেলেন কিছুক্ষণ।
১০.
এই শহরের পশ কফি হাউজে মানুষের নটাঙ্কি দেখতে দেখতে একসময় ঘেন্নায় বমি করে দিলো কাঁচের দেয়ালের ওপাশে লেপ্টে থাকা একটি টিকটিকি।
পড়ুন মাইক্রোফিকশন (১-৫)
পড়ুন মাইক্রোফিকশন (১১-১৫)
Valo laglo govirota vebe. Best wishes.
অনেক ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।
Pingback: মাইক্রফিকশন (১-৫) – শিবলী নোমান
আজকে খুব ভোরে অফিসের গাড়িতে যাচ্ছিলাম। সুন্দর ভোরটাকে আয়েশ করে খুন করলাম। সেই ভুলতে না পারা তৃপ্তি নিয়েই এখন পিসিতে বসে লিখছি। 🙁
জীবনটা তো দিনশেষে দুঃখের, নিঃসন্দেহেই!
Pingback: মাইক্রোফিকশন (১১-১৫)