শিবলী নোমান
১.
ফ্রিজ বন্ধ করে ফেরার পথে লম্বা করিডোরে ঝুলন্ত আয়নায় রান্নাঘরে থাকা এক সুন্দরী নারীকে দেখলাম আমাকে উদ্দেশ্য করে হাস্যরত…সুন্দরী নারীর ঝলমলে হাসির ফলে পুলকিত হৃদয়সমেত বসার ঘরে দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়েই মনে পড়লো ঘণ্টা আড়াই ধরে বাসায় একা আছি।
২.
অবশেষে নগরের শেষ প্রান্তে পাওয়া এটিএম বুথে কার্ড ঢুকিয়ে টাকার অঙ্ক জানানোর ক্ষণকতক পর টাকার বদলে বেরিয়ে আসা এক ঝাঁক সাদা তেলাপোকা তাকে সাবার করে বুথটিকে পরবর্তী সেবাগ্রহীতার জন্য তৈরি করে ফেললো।
৩.
সদ্যপ্রাপ্ত খবর অনুযায়ী বিপ্লবী প্রাণি ও পক্ষীকূলের জারিকৃত ডিক্রির মাধ্যমে প্রাণে বেঁচে যাওয়া বর্বর মানব সদস্যদের একটি অংশকে প্রদর্শনের জন্য চিড়িয়াখানায় প্রেরণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অবশিষ্টদের মাংশাসী প্রাণিকুলের খাদ্যসংস্থানের নিমিত্তে ব্যবহারের নির্দেশ দিয়ে পরবর্তী ডিক্রি আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
৪.
ভেজা ত্যানা দিয়ে কাঁচে লেগে থাকা শেষ দাগটা গায়ের জোরে মুছতে মুছতে লোকটা বিড়বিড় করে বলে উঠলো, “কোন বেজন্মায় যে বাসটার তলে পড়ছিল, কী ঘন হয়ে দাগ পড়ছে রক্তের একেকটা ফোঁটার!”
৫.
তৃতীয় অনুষদ ঘুরে হতাশ ইবনে বতুতার স্বগতোক্তি, “প্রথম অনুষদ থেকে বললো কিছু সাহিত্য-সংস্কৃতির চর্চা ছাড়া তৃতীয় অনুষদে কী আর পড়ালেখা হয়! কিন্তু এ তো দেখছি বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সব অনুষদের মতোই, এখানেও কিছুই হয় না!”
পড়ুন মাইক্রোফিকশন (৬-১০)
পড়ুন মাইক্রোফিকশন (১১-১৫)
Pingback: মাস্টার – শিবলী নোমান
Pingback: মাইক্রোফিকশন (৬-১০) – শিবলী নোমান